Translate

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১২


http://www.doridro.com
রিমি, খুবি শান্ত-শিষ্ট একটি মেয়ে। সে ক্লাস 9 এ পড়ে, খুবি সুন্দর দেখ্তে।
আর এ জন্য্ সে অহঙ্কার ও কম করে না। সে প্রতিদিন সোজা ক্সুল এ যায় একং ক্সুল থেকে সোজা বাসায় ফেরে। রাস্তা পথে অনেক ছেলে রিমির দিকে ...চেয়ে থাকে। রিমি যেন তাদের দেখে ও দেখে না।

আজ রিমিদের ক্সুল এ এস. এস .সি পরীক্ষার্থিদের বিদায় অনুষ্ঠান্। রিমিরা সব বান্ধবী মিলে ঠিক করে রেখেছে আজ ওরা অনেক সেঁজে ক্সুলে যাবে। তাই রিমি সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে, গোসল শেষ করে সাঁজতে বসে। এমনি সে অনেক সুন্দর্, সাঁজগোজ করার পর তাকে পরীর মত দেখাচ্ছিল।

এর পর সে ক্সুলে যায়্। ওরা সব বান্ধবী মিলে অনেক মজা করে। ক্সুল ছুটির পর রিমি ও তার দুই বান্ধবী মিলে বাসায় ফিরছিল।

এমন সময় হঠাৎ খুব সাধারন একটি ছেলে হাতে একটি রক্তলাল গোলাপ ফুল হাতে রিমির সামনে এসে দাড়ায়্। রিমির চোখের দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলে, আমি তোমাকে ভালবাসি ।

রিমি ছেলেটার কথা শুনে অবাক হয়ে যায়্। ওর দুই বান্ধবী একটু দুরে দাড়িয়ে ওদের দু'জনকে দেখছে আর মিটি মিটি হাসছে।

রিমি কিছুই বলতে পারছিল না। সে শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। তখন ছেলেটি বললো, ঠিক আছে। আজ তোমাকে কিছু বলতে হবে না। আমি কাল এসে এখানে অপেক্ষা করব, কাল উত্তর দিও। এই বলে ছেলেটি রিমির হাতে ফুলটি দিয়ে চলে গেল।
রাতে শুয়ে রিমির বারবার ছেলেটির কথা মনে পরতে লাগলো। এটাই যেহেতু রিমির জীবনে কোন ছেলের কাছ থেকে পাওআ 1st propose তাই সে না চাইলে ছেলেটির কথা ভাবতে লাগলো। সাধারন ছেলেটির মাঝেও কি যেন একটা অসাধারন কিছু আছে। এসব ভেবে ভেবে সে বার বার ছেলেটির দেয়া ফুলটি দেখ্ছিল। এক সময় সে নিজেও ছেলেটিকে ভালবেসে ফেলে। সে ভাবে কাল ক্সুল থেকে আসার সময় ছেলেটিকে বলবে যে, সেও ছেলেটিকে ভালবাসে।

সে ভাবে, ছেলেটির নাম না কি ছিল। তখনি মনে পড়ে, ছেলেটি তার নাম ও বলেনি। রিমি ভাবে, কাল ওর নাম জিত্গেস করতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতে রিমি ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমের মাঝে সে ছেলেটিকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখে। দেখে, সে আর ছেলেটি খুব সুন্দর একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।

সকালে মায়ের ডাকে রিমির স্বপ্ন এবং ঘুম দুটাই ভেঙ্গে যায়্। গতকালের সব কিছু তার মনে পরে। সে তাড়াতাড়ি নাস্তা করে ক্সুলে চলে যায়্।

ক্লাসে ওর দুই বান্ধবী এসে বলে, কি রে আজ কি উত্তর দিবি? রিমি ওদের সব খুলে বলে। ওরা ৩জন পুরা ক্লাস এসব নিয়ে আলোচনা করে কাটিয়ে দেয়্। প্রতীক্ষিত ছুটির ঘন্টাটা আজ বাজতে যেন অনেক দেরি হচ্ছে। অনেক প্রতীক্ষার পর ক্সুল ছুটি হল। ওরা ৩বান্ধবী হেঁটে কালকের জায়্গায় আসল। রিমি দেখলো, ছেলেটি আজো একটি রক্তলাল গোলাপ হাতে রাস্তার অপর পাড়ে দাড়িয়ে আছে। রিমি ঈশারা করে ছেলেটিকে ডাকে। ছেলেটি মনে হয় খুবি খুশি হয়্। তাই সে কোন দিকে না তাকিয়ে তারাহুড়ো করে রাস্তা পাড় হোয়ার জন্য্ রাস্তায় নামে।

ছেলেটি যখন রাস্তার মাঝ খানে পৌছায় গেছে তখন রিমি দেখে, বিপরীত দিক থেকে খুব দ্রুত গতীতে একটি ট্রাক আসছে। রিমি তার সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার করে ওঠে। ছেলেটি ফিরে তাকায়্।

কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ছেলেটির হাতের গোলাপ ফুলটি যেন উড়ে এসে রিমির পায়ের কাছে পড়ে। ছেলেটির রক্তে রাস্তার অনেকটা জায়্গা ভিজে লাল হয়ে আছে। চারপাশ থেকে লোক্-জন ছুটে এসে মৃত ছেলেটি কে ঘিরে ধরে।

রিমি পাথরের মূর্তির মত রাস্তার ধারে বসে পড়ে। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মাটিতে পড়ে থাকা রক্তলাল গোলাপটার দিকে । ।
(সংগৃহীত)